History of the Ashrama

রামকৃষ্ণ সেবাপীঠ আশ্রম, নারায়নপুর শ্রী রামকৃষ্ণ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের একটি উদ্যোগ। নারায়নপুর উত্তরপাড়া পূজামণ্ডপ সংলগ্ন পুণ্যভূমিতে বহুদিন ধরে বাস করতেন একজন বয়স্কা মহিলা। গ্রামের অনেকে তাকে চিনলেও তিনি সর্বদা নিজের জগতে মায়ের সেবায় নিত্য ব্যস্ত থাকতেন। তাঁর দিন কাটত তাঁর নিজের হাতে তৈরি ও পরিচালিত ছোট্ট একটি মাটির মন্দিরে মৃন্ময়ী মা আনন্দময়ীর সর্বক্ষণের সেবায় ও সাধনায়। তাই সেই মাটি ও জমি আজও পবিত্র তীর্থক্ষেত্র যদিও তা প্রচারের অন্তরালে। বয়স কালে প্রকৃতির নিয়মে একদিন তাকে ইহজগত ছেড়ে চলে যেতে হয়। অনেক প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যে সেই মন্দির নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গ্রামের সকলের প্রচেষ্টায় পুনরায় মায়ের সেই মন্দির নির্মাণ হয়েছে। সালটা ইংরাজী ২০২০, হটাৎ খবর এল সেই পুণ্যভূমি ও তাঁর তৎসংলগ্ন জমির হস্তান্তরের। সেই মুহূর্তের ভাবনা ইহা একমাত্র ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের গৃহ ব্যতিত অন্য কিছুর জন্য নহে। মায়ের পূণ্য ইচ্ছার পূর্ণ রুপ দিতে তাই এই আশ্রমের ভাবনা। ঠাকুরের মানসপুত্র স্বামী ব্রহ্মানন্দ তথা সকলের প্রিয় রাখাল মহারাজের জন্মভূমি উত্তর ২৪ পরগনার শিকরা-কুলিন গ্রামের অনতিদূরে অবস্থিত এই নারায়নপুর গ্রাম। তাই ভক্তের বিশ্বাস এই এলাকা সর্বদাই ঠাকুরের পুন্যভুমি হিসাবেই সর্বদা বিরচিত হবে। প্রথম কয়েক বছর ঠাকুর মা ও স্বামীজীর বিশেষ পূজার আয়োজন হলেও সময়ের সাথে সাথে ঠাকুরের একটি স্থায়ী ঘরের (মন্দিরের) শিলান্যাস মাধ্যমে আশ্রমের পথ চলা। ভক্তই ভক্তির আধার। তাই ভক্তদেরই সেবাদানের মাধ্যমেই আমরা এগিয়ে চলেছি। সাথে আছে মায়ের অন্তহীন ভালোবাসা ও আশীর্বাদ এবং স্বামী বিবেকানন্দের সাহস। আমরা সকলে বিশ্বাস রাখি আমাদের এই পথচলায় আমরা একদিন সফল হবই এবং ঠাকুরের নামের এই প্রতিষ্ঠান জগতে নিশ্চয়ই সুনামের সহিত পরিচালিত ইহবে। দিব্যত্রয়ির কাছে এই আমাদের প্রার্থনা।

Scroll to Top